চুল পড়া রোধ করতে কেনা চায়,তার সঙ্গে অনেকে চায় সিলকি চুল করে নিজেকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলতে। বয়স অনুপাতে চুল পড়া স্বাভাবিক, কিন্তু বয়স হওয়ার আগেই মাথায় টাক দেখা যাওয়া একটি চিন্তার বিষয়।
আপনি জানেন কি, প্রতিদিন একশোটি চুল পড়া স্বাভাবিক তবে এর চেয়ে বেশি জড়ে পড়া কিন্তু মানা জায়না।
চুল পড়া বন্ধে প্রাথমিক চিকিৎসা বা ঘরোয়া যত্ন নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে সহজে।
পুষ্টিহীনতার ফলে চুলের গড়া নরম হয় এবং চুল ঝড়ে পরে, তাছাড়া বংসগত কারণেও মাথায় টাক পড়ে। হরমসের কারনেও চুল পড়ে। তবে বংসগত ছাড়া বাকি দুটো কারণে চুল পড়লে সময়মতো চিকিৎসা করালে চুল রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কোলন শহরের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. উটে লিংকা
চুল পড়া বন্ধে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা
১. গোসলের এক ঘণ্টা আগে পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল মেসেজ করেনিন, গোসলের সময় ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধে ও চুল গজাতে সাহায্য করে।
২. আমলকীর তেল চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
৩. আধা কাপ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখে সকালে বেটে চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. একটি ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. সামান্য গরম করে তারপর চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন নারকেল তেল। ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
৬. চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। সরিষার তেলে আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে ফলিকল মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।
৭. লেবুর রস ও ধনিয়া গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে মাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল মজবুত ও খুশকিমুক্ত হবে।
৮.চুলের সঠিক ন্যারিশমেন্টের জন্য নারকেল দুধের বিকল্প নেই। এছাড়াও তা ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
৯. মেহেদীর নির্যাস ও টকদই চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া বন্ধ করে।
১০. ই-ক্যাফ ক্যপসল ও ক্যাস্টার অয়েল মিসিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।
জয়নিউজ/আরএস/পিডি