আগামী মাসে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ খেলার মাঝেই উঠতে পারে ভারত-বাংলাদেশের দু’দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। ক্রিকেট মাঠেই তিস্তা চুক্তির ফয়সালা হয় কি-না তা নিয়েও দেখা দিয়েছে কৌতুহল।
ভাবছেন খেলার প্রসঙ্গ এনে হঠাৎ রাজনীতির কথা কেন? ব্যাপারটা তাহলে একটু খোলাসা করা যাক।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি আগামী মাসে কোলকাতায় ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় সেখানে থাকার কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, টেস্ট দেখা উপলক্ষে হাসিনা, মোদী ও মমতার আলোচনায় আসতে পারে তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন, সীমান্তের নিরাপত্তাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়। খবর আনন্দবাজার।
হাসিনা ও মোদী ফের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত এক মাসে দু’বার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রথমবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন, দ্বিতীয়বার চলতি মাসের গোড়ায় হাসিনার ভারত সফরে।
দ্বিতীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, তিস্তা পানিচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত নীতিগতভাবে সম্মত। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র। তিস্তা ছাড়াও দু’দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া আরও সাতটি নদী সম্পর্কে তথ্য যৌথ নদী কমিশনের কাছে দেওয়ার কথা দু’দেশেরই। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক শিগগির হবে বলেও ঐকমত্য হয়েছে।
সূত্রের খবর, মোদীর সামনেই শেখ হাসিনা ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিস্তার ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন। হাসিনা সাম্প্রতিক ভারত সফরের ঠিক আগে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গকে ৫০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সৌজন্যবার্তা কৌশলগতভাবেই দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিস্তা চুক্তির রূপায়ণ ঝুলে থাকা ঘরোয়া রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্য অস্বস্তিকর।