রাউজান নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম নদীমপুর এলাকায় অবস্থিত ২৫ একর আয়তনের নদীমপুর দিঘি। দিঘির চারপাশে রয়েছে কবরস্থান, স্কুল, কলেজ, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
শত বছরের পুরাতন দিঘিটি একসময় ভরাট হয়ে জঙ্গলে আর পরিত্যক্ত দিঘি হিসেবে পরিণত হয়। ভরাট হওয়া জমিতে ধানের বীজতলা হিসাবে ব্যবহার করতো এলাকার কৃষকেরা।
নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার দিঘির মালিকদের নিয়ে দিঘি সংস্কার করার উদ্যোগে নেয় দেড় বছর আগে।
দিঘির মালিকদের কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নিয়ে স্থানীয় সমাজসেবক মোখতার হোসেন, কাজী মোরশেদ, কাজী জাবেদ, কাজী ইউছুপ, কাজী হানিফ ২৫ একর আয়তনের দিঘিটি ২৪ লাখ টাকা খরচ করে খনন করেন। বর্তমানে দিঘিতে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালী বাউশ, পাঙ্গাস ও সিলভারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে।
দিঘির ইজরাদার মোখতার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, দিঘিতে ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালী বাউশ, পাঙ্গাস ও সিলভারকার্প মাছ রয়েছে। ভরাট হয়ে যাওয়া দিঘিটি খনন করায় এলাকার শত শত বাসিন্দা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গোসল করার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে দিঘির পানি ব্যবহার করছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার জয়নিউজকে বলেন, দুইশত বছর ধরে ভরাট হয়ে থাকা দিঘি খনন করায় একদিকে মাছ চাষ হচ্ছে, অপরদিকে দিঘির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সুফল ভোগ করছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ।