বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী তানজিলিয়া মারা গেছেন। রাশিয়ান বুক অব রেকর্ডস অনুযায়ী তার বয়স ছিল ১২৩ বছর।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে মারা যান তিনি।
জানা যায়, ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন তানজিলিয়া। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তিনি।
তার পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনদিনই সেভাবে মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তিনি।
১২৩ বছর বয়সেও প্রতিদিন নিজের কাজ নিজেই করতেন তানজিলিয়া। তার এ স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর রহস্য কী জানতে চাইলে জানা যায়, এক মুহূর্তও তিনি স্থিরভাবে বসে থাকতেন না। এমনটাই জানালেন তানজিলিয়ার পরিবারের সদস্যরা।
তানজিলিয়ার এক নাতি জানান, তার দাদী সবসময় কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতেন। কেউ তাকে একটানা শুয়ে-বসে থাকতে দেখেনি কখনো। তবে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করে বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতেন তানজিলিয়া। তারমধ্যে প্রথমটি হলো সবরকম নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকা।
খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। কেবলমাত্র টাটকা, বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন তিনি। তার কর্মজীবনও ছিল বেশ দীর্ঘ। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশ কিছু বছর কাজ করেছেন তিনি। এজন্য বিশেষ স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন তানজিলিয়া।
২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের জীবিত ব্যক্তির স্বীকৃতি পান তিনি। তবে, সেসব নিয়ে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস ছিল না তার। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি এবং তাদের ঘরে আরও ১৩ জন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এই নারী।