সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল ও জাহাজে ব্যবহৃত চারটি রকেট সিগন্যাল প্লেয়ার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জাহানাবাদ ২নং ওয়ার্ডের সম্মেলন ছিল আজ শনিবার (২ নভেম্বর)। সম্মেলনের জন্য স্থানীয় জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্মেলন শুরুর মুহূর্তে একটি নোহা মাইক্রো করে হাজির হয় ৮/১০ জনের সশস্ত্র যুবক।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্রসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ওয়ার্ডে একক সভাপতি প্রার্থী ছিলেন নাঈম। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম রনি ও মুসলিম। সভাপতি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করতে দুই প্রার্থীকে নিয়ে বসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম রনি বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে সম্মেলনে হামলা করতে এসেছিল। কিন্তু স্থানীয় জনতা তা প্রতিরোধ করে সন্ত্রাসীদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
অপর প্রার্থী মো. মুসলিম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভাটিয়ারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, অস্ত্রধারীরা যখন ঘটনাস্থলে এসেছিল তখন আমরা ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক নির্ধারণে সমঝোতা বৈঠকে ছিলাম। কারা, কেন এই অস্ত্রধারীকে ভাড়াটিয়া হিসাবে এনেছে তা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা জয়নিউজকে বলেন, একটি পিস্তলসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মাইক্রোটিও জব্দ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে জাহাজের চারটি রকেট প্লেয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়নিউজ/সেকান্দর