পেশাদার সাংবাদিক না হওয়া সত্ত্বেও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াতের ক্যাডার সাদাত উল্লাহ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান পেয়েছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংগঠন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।
সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে বলেন, সাদাত উল্লাহ সাঈদীর মুক্তির দাবি জানিয়ে সাত বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিয়েছিলেন। জামায়াত নেতা সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজা হলে সামাজিক যোগাযোগা মধ্যমে বাঁশের লাঠি,তীর ধনুক, বল্লম নিয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন এ সাদাত উল্লাহ। লোহাগাড়ার চেয়ারম্যান থাকাকালে এ জামায়াত ক্যাডার ইউনিয়নের দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কেজি সরকারি চাল গুদাম থেকে তুলে কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
জামায়াতের এই ক্যাডার সাতকানিয়া দুদু ফকির মাদ্রাসার শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। এত অপরাধ করা সত্ত্বেও জামায়াতের এ ক্যাডার কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে কিভাবে অনুদান পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে সিইউজে।
পেশাদার সাংবাদিক না হওয়া সত্ত্বেও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে কিভাবে জামায়াত ক্যাডার আবেদন করেছে, কারা তার আবেদনে সুপারিশ করেছে, কেন বোর্ড সভায় তাকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিল থেকে সবোর্চ্চ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো এবং প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার পর কিভাবে সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হলেন এসব খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে সিইউজে।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। প্রশাসনের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-বিএনপি-অগ্নিসন্ত্রাসীরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। এদের শেকড় উন্মোচন করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন নেতারা।
বিবৃতিতে আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠন, অসুস্থ, অসহায় সাংবাদিকদের সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখাসহ অগ্নিসন্ত্রাসী, জামায়াত ক্যাডারকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিইউজে।