ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বন্দরে অবস্থানরত নাবিক-জাহাজের জীবনমান ও সম্পদ রক্ষায় পুরো রাত জেগে তৎপর ছিল বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। খোলা হয়েছিল বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুমও।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার, মেরিন, পরিচালক ট্রাফিক, সচিব, ডিসি, হাইড্রোগ্রাফারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কট্রোলরুম খোলা হয়েছিল।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ বন্দর ভবনে উপস্থিত থেকে পুরোরাত জেগে নানাবিধ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আর এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএ নেতারা। এমন দুর্যোগময় পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন বন্দরের কর্মচারীরাও।
বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনছুর আহম্মদ জয়নিউজকে বলেন, বুলবুলের কারণে সরকারের নির্দেশে বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি আগেই বাতিল করা হয়েছিল। পুরো রাত জেগে চেয়ারম্যান মহোদয় অফিসে থেকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। রোববার সকালে সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে জেটি ও ইয়ার্ড উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমরা জেটি পরিদর্শন করি।
হ্যান্ডলিং হবে সাড়ে ৫ হাজারের অধিক কন্টেইনার
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত থাকলেও রোববার দুপুর থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝেও পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর পরিবহন বিভাগের পরিচালক এনামুল করিম জয়নিউজকে বলেন, আজ দুপুর প্রায় ১২ টার দিকেই বন্দরে পুরোপুরি কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮টি জাহাজ থেকে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে সোমবার সকালের মধ্যেই প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের অধিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জয়নিউজকে বলেন, স্বাভাবিক গতিতে বন্দরের কার্যক্রম চলছে। বুলবুল মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলেন। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
বন্দরের তথ্যমতে, বহির্নোঙ্গরে ৩৫টি জাহাজ অবস্থান করছে। এছাড়া ও ১৮টি জাহাজ জেটিতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে।