দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যকর হওয়ার পর যে মামলা ছিল তার ৭৩ শতাংশ শাস্তি নিশ্চিত করতে পেরেছে দুদক। কিন্ত এ হার শতভাগে নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান হলে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, ২০০৪ সালে দুদক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে দুদক কার্যকর হয়েছে। মূলত দুইটি বিষয় দেখে দুদক। একটি প্রতিরোধ, অন্যটি প্রতিকারমূলক। আজকের শুনানিটি প্রতিরোধমূলক কাজের অংশ। এছাড়া প্রতিকারমূলক কাজের মধ্যে যখন অভিযোগ পাই, তখন সেগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।
তিনি আরো বলেন, প্রতিরোধমূলক কাজের মধ্যে আমাদের প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে কমিটি আছে। তারা জনগণের সাথে কাজ করার পাশাপাশি কমিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দুর্নীতি দমনে ভূমিকা রাখছে। প্রায় ২৮ হাজার স্কুলে সততাসঙ্গ ছাড়াও ৫ হাজার স্কুলে সততা স্টোর করেছি। যার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও সততার চর্চা করাচ্ছি।
এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য মাঠপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান, অফিস কেমন চলছে, সেবাগ্রহীতারা কেমন সার্ভিস পাচ্ছেন- তা জানা। অনেক সময় প্রতিষ্ঠানে কী অনিয়ম হচ্ছে- তা প্রতিষ্ঠানের প্রধানও জানেন না। গণশুনানি দুর্নীতির পথকে চিহ্নিত করে।
তিনি বলেন, যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে। যে অফিসেই দুর্নীতি, সেখান কঠোর হতে হবে। বর্তমানে সবার মধ্যে অত্যাচার করে টাকা আদায়ের মানসিকতা রয়েছে। এটি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
দুদক চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে গণশুনানিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ, দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়-১ এর উপরিচালক নুরুল ইসলাম, হোসাইন শরীফ, নগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু ও সদস্য মো. আবু সাঈদ সেলিমসহ বন্দরের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।