সীতাকুণ্ডের একটি জাহাজভাঙা ইয়ার্ডে কাজ করতেন মো. মুসলিম। মুসলিমের বাড়ি সিলেটে হলেও কয়েক বছর ধরে কাজের সুবাদে থাকতেন সীতাকুণ্ডের কদমরসুল লোকমান কন্ট্রাক্টরের ভাড়াঘরে। ৭ নভেম্বর স্ক্র্যাপ জাহাজে কাজ করার সময় লোহার প্লেটের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় মুসলিমের।
দুর্ঘটনায় নিহত স্বামী মুসলিমকে গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যান স্ত্রী জাহিদা খাতুন। সেখানে স্বামীর চেহলাম শেষে সোমবার( ১১ নভেম্বর) রাতে আবার চট্টগ্রামে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে দুর্ঘটনায় লাশ হলেন তিনি।
জাহিদা খাতুনের পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলা না গেলেও তারা যে ভাড়া ঘরে থাকতেন তার প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন ও হালিম চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত বাড়িতে চেহলামে চট্টগ্রাম থেকে দুই ছেলে আর শাশুড়িকে নিয়ে যোগ দেন স্ত্রী জাহিদা খাতুন। চেহলাম শেষে সন্তানদের নিয়ে ট্রেনে করে ফিরছিলেন তারা। কিন্তু চট্টগ্রামে আর ফেরা হলো না জাহিদার।
মঙ্গলবার (১২ নভম্বের) ভোর চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন ক্রসিংয়ে ঘটে ট্রেন দুর্ঘটনা।
এতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন হতভাগ্য জাহিদা বেগমও। আহত হয়েছেন দুই ছেলে ও শাশুড়িও।
সীতাকুণ্ড থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শামীম শেখ জয়নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত মুসলিম মিয়ার স্ত্রী জাহিদা ও তার ছেলে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে বলে শুনেছি।