সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ অভিযোগ দেন উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এমদাদ নূর।
অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খা ও সাধারণ সম্পাদক অমল করের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ও দুর্নীতি মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভের পর থেকে দলীয় পদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অমল কর। অমল কর ২০০৮-২০১৫ সাল পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালে এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
তিনি অবৈধ পথে উপার্জিত টাকায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাঁধনপাড়া এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট ভবনের মালিক হয়েছেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা। এছাড়াও অমল করের কানাডায় বাড়ি রয়েছে। তিনি তার অবৈধ অর্থ কানাডাতে স্থানান্তর করেছেন। তার স্ত্রী ও সন্তান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। তাছাড়া তিনি গত অক্টোবর মাস কানাডাতে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমর করের দেশ-বিদেশের অনেক ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে।
অভিযোগকারী এমদাদ নূর বলেন, অমল কর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বালু, পাথর, কয়লাঘাট, চুনাপাথর ঘাট, হাট-বাজার অফিসসহ বিভিন্ন উৎসে চাঁদা আদায় করে বিত্তশালী হয়েছেন এবং বিলাসী জীবনযাপন করছেন। অতিরিক্ত টাকা হাতে আসায় তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান। কানাডায় বাড়ি করে পরিবারকে ওই জায়গায় স্যাটেল করেছেন।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর বলেন, আমি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আমি বিভিন্ন সময় ভারত, কানাডা ও সিঙ্গাপুর ঘুরতে যাই। আমার কয়লার ব্যবসা রয়েছে। আমি সৎ পথে ব্যবসা করি এবং সেই টাকায় বিদেশে ঘুরতে যাই। আমার কোনো কানাডায় বাড়ি নেই। আমার পরিবার আমার সঙ্গে সুনামগঞ্জে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সামনে তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিছু দলের বিরোধী লোকেরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে। তারা এক সময় জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।