পেকুয়ায় ডাকাত মোহাম্মদ আলমের (২৭) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১২টি বন্দুক ও ২৩ রাউন্ড কার্তুজও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ি গুদিকাটা এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম প্রকাশ ডাকাত আলম রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন আইনে ৮/৯টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত বর্মকর্তা কামরুল আজম জয়নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার ভোরে টইটং ইউনিয়নের গুদিকাটা এলাকায় দুই ডাকাতদলের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে গহীন অরণ্যের দিকে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউর ইসলাম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, এএসআই মেজবাহ উদ্দিনসহ পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে তালিকাভুক্ত ডাকাত আলমের মরদেহ ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে।