নগরের বাকলিয়া থানায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার ও মাসুদুর রহমান।
একইসঙ্গে বর পক্ষকে ৫০ হাজার ও কনে পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে উভয়ের থেকে মুচলকা নেন। এরপর বিয়ে ভেঙ্গে দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের তুলাতলি ওয়েডিংপার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার জয়নিউজকে বলেন, কর্ণফুলির শাহমীরপুর গ্রামের মরহুম আবুল কালাম সওদাগরের ছেলে হাফেজ ছগির আহমদ খোকনের (২৮) সঙ্গে পটিয়ার চরকানাই গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া ইসলামের (১৫) বিয়ে ঠিক হয়। সাদিয়া কামালে ইশকে মোস্তফা ফাজিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
তিনি বলেন, বেলা ৩টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহীদ বশরুজ্জামান চত্ত্বরের পাশে আমরা অবস্থান নিই। এরপর ঘটনার সত্যতার জন্য উভয়পক্ষের সঙ্গে আলাপ করি। প্রথমে কনের অভিভাবকদের ডেকে জানতে চাই, মেয়ের বয়স কত এবং কোন শ্রেণিতে পড়ে। তখন মেয়ের অভিভাবক উল্টাপাল্টা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে।
‘এসময় আমি কনের শিক্ষাসনদ এবং আসল জন্মতারিখ জনসম্মুখে দেখি। তাতে প্রমাণিত হয়, কনের বয়স মাত্র ১৫ বছর ৭ মাস। পরে বরের বড়ভাইকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি মেয়ের বয়স সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জবানবন্দিতে বলেন।’
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।