চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উদ্যোগে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে নির্মিত বিশেষায়িত গবেষণাতরী ‘সিভাসু রিসার্চ ভেসেল’এর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই গবেষণাতরী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিভাসু জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায় এই গবেষণাতরীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে উন্মোচিত হবে নতুন এক মাইলফলক। কারণ, দেশে এই ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম। এটি সিভাসুর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রায় ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই গবেষণাতরীতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ৩টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
বিশেষায়িত গবেষণাতরীর মাধ্যমে বহুমুখী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে মালয়েশিয়া সরকার তাদের কৃত্রিম হ্রদ ‘লেক কেনিয়র’-এর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আর সেই তরীর আদলে সিভাসুর এই গবেষণাতরীটি নির্মাণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে কাপ্তাই লেকের অনেক মৎস্যপ্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির আশংকায় আছে। বিলুপ্ত মৎস্যপ্রজাতির মধ্যে রয়েছে-মহাশোল, পিপলা শোল, বাঘাআইড় ও নান্দিনা ইত্যাদি।
বিলুপ্তির আশংকার তালিকায় আছে-সরপুঁটি, পাবদা, গুলসা, বাচুয়া ও ভঙ্গন বাটা প্রভৃতিসহ ১৮টি প্রজাতি।
কাপ্তাই লেক এক সময় কার্প জাতীয় মাছের প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল। ১৯৬৫-৬৬ সালে এই হ্রদে প্রাপ্ত মাছের মধ্যে ৮১ শতাংশই ছিল কার্প জাতীয়। অথচ বর্তমানে ৯০ শতাংশই হলো চাপিলা ও কাচকি।