কথার পিঠে কথা। কখনও তর্ক, আবার কখনও যুক্তি। নিশ্চুপ পুরো হলরুম। একটু পর-পর করতালি। মাত্র কয়েক মিনিটের বক্তব্যে টগবগে ছেলে মেয়েগুলো কি অসাধারণভাবেই না উপস্থাপন করছিলেন চমৎকার সব তথ্য!
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত ‘ইংলিশ ডিপার্টমেন্ট ডিবেট অ্যান্ড পাবলিক স্পিকিং চ্যাম্পিয়নশীপ ২০১৯’এর ফাইনালের চিত্রটা ছিলো এমনই।
সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস ডিবেটিং সোসাইটি (সংক্ষেপে স্লাস ডিবেটিং সোসাইটি) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, বিতর্কচর্চা বরাবরই আলোকবর্তিকা হয়ে কাজ করে। সৃজনশীল শিল্প মানেই এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আর তাই শিক্ষার্থীদের জীবন গঠনে এই ধরণের আয়োজনের বিকল্প নেই।
সিআইইউর শিক্ষার্থীরা তাদের যুক্তির আলোতে সমাজকে আলোকিত করবেন-এমনটা প্রত্যাশার কথা জানান উপাচার্য।
স্লাস ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সার্মেন রড্রিক্স, ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী এমডি আরাফাত হোসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কৃতী ছাত্রী জান্নাতুন নূর।
প্রতিযোগিতায় দুটি শাখায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ‘এশিয়ান পার্লামেন্টরি ইংলিশ ডিবেট’ শাখাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বিজয়ী হয় যমুনা দল। আর রানার্স আপ হয় কর্ণফুলী। বিজয়ী দলের ফাতিমা আফরোজ সেরা বক্তার পুরস্কার লাভ করেন। মোট ৮টি দল এখানে অংশগ্রহণ করে।
অন্যদিকে ‘পাবলিক স্পিকিং’শাখায় অংশ নেয় মোট ১৭জন শিক্ষার্থী। তাদের ভেতর কেয়া চন্দ প্রথম, এমডি হোসাইন দ্বিতীয় ও মাইশা কামাল তৃতীয় হন।