স্বপ্নকে বাস্তবতায় পরিণত হতে দেখছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স (আইজিএলই) কোর্সে আরব আমিরাতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন ও ওয়ার্কশপ-সেশনে অংশ নিতে তারা পার করছেন খুবই ব্যস্ত কিন্তু চমৎকার কিছুসময়।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) টিম ইডিইউর পঞ্চম দিন। এদিন আবুধাবি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনপূর্বক তাদের কর্মপদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে এক সেশনে উপস্থিত হয় শিক্ষার্থীসহ সফরকারিরা।
এছাড়াও ২৭ নভেম্বর দুবাইয়ের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাস আল খাইমাহ ইমোনমিক জোন এবং মিডিয়া ওয়ান হোটেল পরিদর্শন করেন। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের কোর্স-প্রোগ্রাম
পরিচালনার জন্য বিখ্যাত দুবাই নলেজ পার্কে ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সেশনে উপস্থিত হন তারা।
দুবাইকে জ্ঞাননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনির্মাণে চালু হওয়া এ প্রতিষ্ঠানে আমিরাতের টেকম গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাজাদী দুররানি ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য কালচারাল মিক্স অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট’শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন।
এছাড়া ২৫ নভেম্বর একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উজায়ের হাসানের সঙ্গে লিডারশিপ ও ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে দিনব্যাপী কয়েকটি সেশনে মিলিত হয় ইডিইউর টিম।
আইজিএলই কোর্সের প্রথম দিন ২৪ নভেম্বর ইডিইউর শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন এমন দুজন বাংলাদেশি, যারা আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে দুটো বড় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। তারা হলেন-আমিরাত এনবিডি’র গ্রুপ ডিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহিদ খন্দকার এবং বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আইবিএম এর সফটওয়্যার ক্লায়েন্ট আর্কিটেক্ট সোহরাব সায়ীদ।
বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন তারা। একইসঙ্গে কিভাবে একটি হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে
উঠেছে, তা নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন।
আইজিএলই কোর্সে দুজন বাংলাদেশিকে যুক্ত করার কারণ শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা নয়, একইসঙ্গে প্রবাসী হিসেবে আমিরাতে কাজের সমস্যা-সম্ভাবনা ও তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানাটাও ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য, বলেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
তিনি আরও বলেন, আইজিএলই শুধুমাত্র একটি কোর্স নয়, এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য লাইফটাইম এচিভমেন্ট। এ অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে চলার পথে অন্যতম পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
শিক্ষার্থী মাইমুনা মানিতা বলেন, বিদেশের সংস্কৃতি, তাদের মানুষজনের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিনের। ইডিইউর এ কোর্সে সেই সুযোগটা পাচ্ছি।একেবারে ভিন্ন একটি পরিবেশে নিজেদের সক্ষমতাকে নিরুপণ করতে পারছি নতুন করে।