শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় সমিতির নিজস্ব জমিতে আবাসনবঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য আধুনিক ও পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড। এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সমিতির সভাপতি স্বপন মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় নতুন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের ২ শ’ সাংবাদিককে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সম্পাদক হাসান ফেরদৌস। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অর্থ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সমিতির কোষাধক্ষ্য নুর উদ্দিন আহমেদ। প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক অঞ্জন কুমার সেন, মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, নাজিমুদ্দিন শ্যামল, চৌধুরী ফরিদ, কাজী আবুল মনসুর, ম শামসুল ইসলাম, বিশ্বজিত বড়ুয়া, শাহরিয়ার হাসান, রোকসারুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন খোকন।
সভায় বক্তারা আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় নতুন ফ্ল্যাট ব্লক স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ায় বর্তমান কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ দেওয়া হয়। এছাড়া সমিতির কল্পলোক আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবন মিডিয়া টাওয়ার নির্মাণে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের অযোগ্যতা-অদক্ষতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
পরে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় অবৈধ দখলে রাখা জমি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরিয়ে নেওয়া, শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় যে সব প্লটে এখনো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি সেসব প্লটে ৩১ মার্চের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণের জন্য প্লট মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা স্থাপনা নির্মাণ করবে না তাদের স্থাপনা বাতিল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং এলাকায় প্লট বরাদ্দ এবং কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ডেভেলপার নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব অনিয়ম হয়েছে সেসব অনিয়ম খতিয়ে দেখা এবং দায়ি ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সমবায় আইন-বিধি, উপবিধি অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।