দেশে সব নিত্যপণ্যের দামের গ্রাফ হঠাৎ করেই উর্ধ্বমুখী। নানা অজুহাতে বাড়ছে পণ্যের দাম। কোনোভাবেই দামের লাগাম টেনে ধরা যেন অসম্ভব। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে পেঁয়াজ। স্মরণকালের রেকর্ড সৃষ্টি করে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল পেঁয়াজ। সামান্য দর পড়লেও এখনো পারদের স্কেলের মতো যেন সামান্য তাপ পেলেই উঠে যাবে গগন চূড়ায়। তাই সবার মুখে এখন পেঁয়াজবন্দনা। তবে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিতে সবার প্রিয় আলুও হাজির বাজারে। নিজের নতুন রূপের ছটায় কেড়ে নিতে চাই পেঁয়াজের স্থান। বাজের এসেই শতক হাঁকিয়ে নট আউট নতুন আলু।
পুরানো আলুও কম যায় না। তাদেরও বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এক মাস আগে রিয়াজউদ্দিন বাজারে ১৫ টাকার পুরানো আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
সবজি-মাছ-নিত্যপণ্য সবখানেই আগুন। দামের সঙ্গে ক্রেতাদের আয়ের এখন বিরাট দূরত্ব। তাই বাজারে আসা ক্রেতার মধ্যে ক্ষোভ।
এমনই একজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জয়নুল আবেদীন সেলিম। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) অফিস বন্ধ থাকায় এসেছেন রিয়াজউদ্দিন বাজারে বাজার করতে। তিনি জয়নিউজকে বলেন, এভাবে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের জন্য এটা সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। পেয়াঁজ, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি, চকবাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায় একই অবস্থা।
এছাড়া সবজির বাজারে বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, তিতকরলা ৬০-৭০ টাকা, প্রতিকেজি ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চিংড়ি ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, লইট্যা ১শ’ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২শ’ টাকা, কাতাল ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, সোনালি ২৪০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৩০ টাকা। ছাগলের মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।