বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বদি আলম নামে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার ( ২৯ নভেম্বর)ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তের ৩৯ নম্বর সীমানা পিলার এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহত বদি আলম কক্সবাজারের উখিয়া ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আহতরা হলেন- মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এবং মোহাম্মদ জুয়েল। এরাও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী শিবির ক্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। নিহত রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে বিজিবি-পুলিশ।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, হতাহত রোহিঙ্গারা মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল। চোরাচালান আনতে গিয়ে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের আনাগোনা ঠেকাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাঁটা তারের বেড়া ঘেষে স্থলমাইন পুতেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীরা।
বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জয়নিউজকে বলেন, সীমান্তের ৩৯/ ৪০ নাম্বার সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থল মিয়ানমার অংশে পড়েছে। বিস্ফোরণে একজন মারা গেছে। আহত হয়েছে ২ জন। হতাহতরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য।
ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: তিন মাসে সীমান্তের বিভিন্ন অংশে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ছয়জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে।