ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি (চসিক) করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে জয়নিউজকে একান্ত সাক্ষাতকারে এ আহ্বান জানান।
মেয়র বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বাসা-বাড়ি নির্মাণসহ রাস্তাঘাটে উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালিত হয়, সে কারণেও আরও বেশি ধুলোবালি সৃষ্টি হয়। তাই যারা যেখানে কাজ করছেন নিজ-উদ্যোগে সেসব স্থানে সকাল-বিকেল পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি মুক্ত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, নগরবাসী একটু সচেতন হলে একটি পরিচ্ছন্ন ধুলোবালিমুক্ত শহর উপহার দিতে পারব। যদি আমরা সবাই একটু সচেতন হয়ে নিজের বাড়ির সামনে ধুলোবালিমুক্ত রাখতে কাজ করি তাহলে সবাই একটি ধুলোবালিমুক্ত পরিবেশ পাব।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, উন্নয়ন স্থানে ইট-বালি ডেকে রাখতে হবে। যেসব এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলছে সেসব এলাকায় পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন ভবন নির্মাণের সময় চটের ঘেরাও করে রাখতে হবে। যেহেতু এখন শুষ্ক মৌসুম। ধুলো থেকে বাঁচতে জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে যাদের দোকান রাস্তার সামনে তাদেরকে পানি ছিটাতে হবে।
এছাড়াও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গাড়ি দিয়ে নগরে পানি স্প্রে করা হচ্ছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থান থেকে প্রতিদিন পানি ছিটাতে পারেন। এর কোনো বিকল্প নেই।
মেয়র বলেন, নগরজুড়ে ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। কোথাও কোথাও রাস্তা কাটা হয়েছে। আবার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ নালার ময়লা রাস্তার উপরে রাখছে। যার কারণে ধুলা উড়ছে।
ব্যাপক উন্নয়নের কারণে ধুলোবালির উৎসস্থলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন শুধু সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যই নগরের রাস্তা ঠিক রাখা চসিকের জন্য কঠিন হচ্ছে তা নয়। এরমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও রাস্তা ব্যবহার উপযোগী রাখা কঠিন ব্যাপার। সব মিলিয়ে ধুলোবালি উড়ছে নগরে। আমরা চেষ্টা করছি নগরবাসীকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতে।