দীর্ঘদিন ধরে তেল চুরি করে গ্রাহকদের ঠকালেও অবশেষে আইনের আওতায় এসেছে নগরের চারটি পেট্টোল পাম্প। তেল চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসটিআই।
অভিযুক্ত পাম্পগুলো হলো, গণি বেকারি মোড়ের যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের মালিকানাধীন কিউসি পেট্রোল পাম্প, ২ নম্বর গেট বাদশা মিয়া অ্যান্ড সন্স, নগরের ওয়্যারলেস মোড়ের শাহ আমিনউল্লাহ রি-ফিলিং স্টেশন ও পাহাড়তলি ডিটি রোডের শিউলি পেট্রোল পাম্প।
প্রতারণার এসব ঘটনায়, ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’র বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করায় ওইসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারদের আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত মামলাগুলো আমলে নিয়ে অভিযুক্ত আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর বিএসটিআইয়ের একটি টিম কিউসি পেট্টোল পাম্প, বাদশা মিয়া অ্যান্ড সন্স, শাহ আমিনউল্লাহ রি-ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালায়।
এসময় তারা কিউসি পেট্রোল পাম্পে গ্রাহককে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম, বাদশা মিয়া পেট্রোল পাম্পে অকটেনে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম, ডিজেল প্রতি লিটারে ৫০ গ্রাম, শাহ আমিনউল্লাহ পাম্পে অকটেনে ১১৫ গ্রাম কম তেল দেওয়ার প্রমাণ মিলে।
এছাড়াও ২৪ অক্টোবর পাহাড়তলি ডিটি রোডের শিউলি পেট্রোল পাম্পে অকটেনে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম করে কম দেওয়ার প্রমাণ পায়।
এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, যেসব পেট্টোল পাম্পকে আদর্শ পাম্প হিসেবে ধরে মানুষ তেল নিতো তারাই তেল কম দিচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক এবং উদ্বেগের বিষয়। এবিষয়ে সরকারি নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
জয়নিউজ/বিআর