বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন নতুন দিক। এক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি হ্রাস করতে তাই প্রয়োজন হয়ে পড়ছে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির গুরুত্ব। এ গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) চালু করেছে ‘প্রফেশনাল সার্টিফিকেট ইন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম এন্ড এভিয়েশন লজিস্টিকস’ কর্মশালা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইডিইউর সেন্টার ফর প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট এন্ড চেইঞ্জ (সিপিডিসি) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলশীর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা পরিচালনা করেন কনসর্ট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির হেড অব প্ল্যান্ট এসএম আশরাফুর রহমান ও ইডিইউর স্কুল অব বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক রবিউল হোসেন দোভাষ।
সিপিডিসি এ প্রোগ্রামটি ছাড়াও পেশাজীবীদের জন্য বিভিন্নধরণের শর্ট কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ট্রেনিংয়ের আয়োজন করে থাকে।
এ কর্মশালায় সিএন্ডএফ ও শিপিং এজেন্সি, ফ্রেইড ফরোয়ার্ডিং কোম্পানিতে কর্মরত, সাপ্লাই চেইন বিষয়ে আগ্রহী এবং এমবিএ শিক্ষার্থী মিলে মোট ২১জন এতে অংশ নেন। এ কর্মশালার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইডিইউর প্রভাষক ওয়াহিদুল ইসলাম ও সহকারী রেজিস্ট্রার হাসানুল বান্না। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন ইডিইউর স্কুল অব বিজনেসের সহযোগী ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, এই ধরণের কোর্স চট্টগ্রামে প্রথম আমরাই চালু করেছি। চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী এবং শিপিং সংস্থাগুলো প্রধানত এই অঞ্চলে স্থাপিত হওয়ায় আমরা অনুভব করেছি যে, এই কোর্সটি অংশগ্রহণকারীদের আন্তর্জাতিক লজিস্টিকের প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে এবং এই ক্ষেত্রে তাদের ক্যারিয়ার শুরু করতে সহায়তা করবে।
আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন দুই বক্তা।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঝুঁকি নিরসনই মুখ্য। এক্ষত্রে ইনকোটার্মস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকেরই টার্মসগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। প্রতি দশ বছর পর পর নিয়ম-নীতিগুলো পরিবর্তন হয়।
এ সময় ইনকোটার্মস ২০১০ এর সমস্যা-সীমাবদ্ধতাগুলো আলোচনাপূর্বক ২০২০ সালে নতুন যে টার্মসগুলো আসবে তা নিয়ে বিশদ ধারণা দেন দুই ইন্সট্রাক্টর।
এছাড়া টার্মস অব পেমেন্ট নিয়েও কথা বলেন তারা। এলসি ফরম ওপেন করার বিষয়ে আমদানিকারকের শুধুমাত্র ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেকেও বিষয়গুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে বলে তারা মনে করেন।