স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর)। ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’ বা কপ নামে পরিচিত এ বছরের সম্মেলন নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘের আয়োজনে প্রতিবছরই জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু সব কপই সমান গুরুত্ব পায় না। তবে ‘কপ২৫’নামে পরিচিত এবারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ।
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব দেশকে ‘ন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান’তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। অর্থাৎ হাতে আছে আর মাত্র এক বছর। ফলে যেসব দেশ এখনও এই কাজ শেষ করতে পারেনি তাদের ওপর চাপ তৈরির শেষ সুযোগ এবারের সম্মেলন।
প্যারিস চুক্তিতে দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্পযুগের (১৮৫০-১৯০০) চেয়ে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের অনেক নিচে রাখতে সম্মত হয়েছে। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার চেষ্টার কথাও বলা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এবারের সম্মেলনে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে বলে মনে করছেন ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের প্রধান অ্যান্ড্রু স্টিয়ার। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও শহর ‘ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি’ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টও ইউরোপে ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি বিল ৪২৯-২২৫ ভোটে পাস হয়েছে।
তবে এই বিলে নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়নি। শুধু প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাই এবার দেখার বিষয়, কপ২৫ এসব বিষয়ে কতটুকু পরিবর্তন আনতে পারে।
জয়নিউজ/পিডি