বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ ইউটিউব চ্যানেল চালালে তাকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ট্যাক্সেশনের আওতায় আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ সামাজিক সচেতনতার বিষয়গুলো ইউটিউবে তুলে ধরছেন। আবার ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ভিউয়ারের সংখ্যার অনুপাতে অনেকেই অর্থ উপার্জন করছেন, এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাই বেশি।
অনেকে ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল খুলে বসেছে- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল করতে পারে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যেমন করতে পারে তেমনি কেউ ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলও করতে পারে।
তবে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যেই করা হচ্ছে এবং সেগুলো প্রচুর সংখ্যক শেয়ার করছে- এগুলোর বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে করে…, আমরা কিন্তু ইউটিউব, ফেসবুকসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে যে ব্যবসা হচ্ছে বা বিজ্ঞাপন যাচ্ছে সেগুলোতে ট্যাক্স আরোপ করার কথা বলেছি। ইতোমধ্যে আমরা এনবিআরের সঙ্গেও কথা বলেছি।
‘সুতরাং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কেউ যদি করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের নিয়ম-ট্যাক্সেশন আইন অনুযায়ী আইন মেনে করতে হবে।’
মোবাইল অপারেটরদের ভিডিও চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, মোবাইল কোম্পানিগুলো নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ছে আবার সেখানে বিজ্ঞাপনও নিচ্ছে। এটির লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়নি।
‘তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা যেভাবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে এবং বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অর্থাৎ সেখানে ব্যবসা করছে- এটির লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়নি।’
‘এটি বন্ধ করতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি দিয়েছি। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকেও এ সংক্রান্ত আলোচনা করেছি। এভাবে যে কেউ চাইলেই যেকোনো কিছু লাইসেন্সবিহীন করতে পারে না।’
তবে যেগুলো বিজ্ঞাপন চলছে সেগুলোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কোনো কিছু অননুমোদিত হওয়া উচিত নয়।