চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জানিয়েছেন চসিকের সঙ্গে জনগণের সরাসরি যোগাযোগের জন্য হটলাইন চালু করেছি। পরিচ্ছন্নকর্মীরা বাসায় গিয়ে ময়লা সংগ্রহ না করলে আমাদের হটলাইনে অভিযোগ করতে পারেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্দরকিল্লার কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মেয়র বলেন, আমরা বলছি না শতভাগ সফল হয়েছি। তবে আগের চেয়ে অনেক দৃশ্যমান হয়েছে। নগরবাসী যদি ময়লা যেখানে সেখানে ফেলেন তাহলে কখনো সফল হবো না।
আমার বিশ্বাস নগরবাসী একটু সহযোগিতা করলে আশাকরি শতভাগ সফল হবো। তাই জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সচেতন করতে পারেন মিডিয়া।
মেয়র বলেন, আমার নির্বাচনকালীন সময়ে একটি অঙ্গীকার ছিল এই শহরকে ক্লিন এন্ড গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করা। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি তখন নগরে ১ হাজার ৩৭৫টি খোলা ডাস্টবিন ছিল। রাস্তায় দিনের পর দিন ময়লাগুলো পড়ে থাকতো। সড়কের দুইধারে ময়লা পড়ে থাকতো।দূর্গন্ধ ছড়াতো চারদিকে। পথচারিরা হাঁটতে কষ্টকর হতো। আমার পাশে দিদার মার্কেট, নূর আহম্মদ সড়ক, রিয়াজউদ্দীন বাজার, মহলমার্কেট, চট্টেশ্বরী রোডসহ নগরের বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পড়ে থাকতো। এখন আমরা সেসব ডাস্টবিন অপসারণ করে ৫৮৫টিতে কমিয়ে এনেছি।
ইতোমধ্যে নগরবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আবার বর্জ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন আগে ময়লা দিনে পরিস্কার করা হতো। ময়লা পরিস্কার জন্য অলিতে-গলিতে ট্রাক ঢুকতো। তখন যানজট লেগে থাকতো। এখন সেই দুর্ভোগ চোখে পড়ে না নগরবাসী। এখন আমরা ময়লা রাতে পরিস্কার করছি। ডোর টু ডোর গিয়ে সরাসরি বর্জ্য সংগ্রহ করছি।
জনগণকে সচেতন করার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই বছর মাইকিং করেছি। লিফলেট বিতরণ করেছি। জনগণকে বলেছি চসিকের নির্ধারিত জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য। ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লাখ প্যাডেলযুক্ত ছোট বিন ও ৩ হাজার ৪৩০টি চাকারযুক্ত বড় বিন নগরের প্রায় সকল বাসা, ফ্ল্যাট, মার্কেট, সুপারমল, হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, নগরের বর্জ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত হচ্ছে ৭৫২টি ভ্যান গাড়ি এবং নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৯৭২ জন পরিচ্ছন্ন শ্রমিক।
তিনি বলেন এছাড়া রাতের বেলা পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়েজিত প্রত্যেক শ্রমিককে বিনামূল্য রেডিয়ামযুক্ত হলুদ রংয়ের সেবক ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। উন্নতমানের রেইন কোটও দিয়েছি। পরিচ্ছন্নতা কাজের মানবৃদ্ধির জন্য পরিচ্ছন্ন কর্মচারীদেরকে একটি করে নতুন মোটরসাইকেল সরবরাহ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া ও মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম।