তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) এর সহায়তায় এই সভার আয়োজন করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা।
প্রধান অতিথি বলেন, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-রাস্তাঘাট সবখানেই ধূমপান হচ্ছে। তবে এই জরিপের মাধ্যমে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহণে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের একটি পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, যা খুবই আশংকাজনক।
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি এক বক্তৃতায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখতে মোবাইল কোর্টের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। কারণ মোবাইল কোর্ট করার মাধ্যমে জনমনে এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো দেশের মেধাবী লোকদেরকে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার পলিসি নির্ধারণ ও ব্যবসার প্রসার করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে তামাক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার, উন্নয়ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
নগরের হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাবলিক বাস ও সরকারি অফিসে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার’(নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নের পরিস্থিতি যাচাইয়ে চলতি বছরের জুনে একটি জরিপ পরিচালনা করে ইপসা। জরিপের ফলাফলে উঠে আসে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের মারাত্মক চিত্র। জরিপের ফলাফল সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ও ফলাফল সম্বলিত প্রকাশনা (ফ্যাক্টশিট) উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসনের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংস্থাটি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবস্থানটা জানতে পেরেছি। তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ উদ্যোগ গ্রহণ করতে এলজিআরডি ইতোমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বলেন, এই জরিপে বিভিন্ন সরকারি অফিসে তামাক আইন ভঙ্গের চিত্র উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম বিভাগের সব সরকারি অফিসকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন সার্কুলার জারি করবে।
সভায় জরিপের ফলাফল সম্পর্কে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন ইপসার উপপরিচালক নাছিম বানু।