চট্টগ্রামের সদ্যপ্রয়াত মহজোটের সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদল। তাঁর মৃত্যুর পর এ আসন এখন শূন্য। আর এই চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী- চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ আংশিক) আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তাঁরা। এ অবস্থায় সবার প্রশ্ন একটাই- কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি, কাকে দেওয়া হচ্ছে ধানের শীষ?
নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। আসনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এলাকার সচেতন জনগণ মনে করছেন, আসন্ন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীর মধ্যেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা উঠান বৈঠক, বিভিন্ন জনবহুল স্থানে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ এবং মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দোয়া ও শুভেচ্ছাবিনিময় করছেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, প্রার্থী নির্বচানের উপর নির্ভর করছে আসনটিতে আওয়ামী লীগ নাকি বিএনপি জিতবে। তাই সবার দৃষ্টি এখন দলীয় মনোনয়নের দিকে। তবে আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দীন এগিয়ে আছেন। অপরদিকে এবারও বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান।
এদিকে আওয়ামী লীগের মাঝি হতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দীনের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও প্রার্থী হতে ইচ্ছুক। ফরম নিয়েছেন বিএনএফ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদও।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা যায়, মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে যদি কেন্দ্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ বা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবারও দায়িত্ব দেওয়া না হয় তাহলে তাঁকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে দুইজন নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান ও বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। একাদশ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। এবারও তাঁকে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর সাংসদ মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।
জয়নিউজ/পিডি