আবারো এসেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি মৌসুম। প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলে।
এদিকে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই বাহারি পোস্টারে ছুঁয়েছে চারদিক। নগরের অলিগলির দেওয়ালগুলো সেজেছে ভর্তির বিজ্ঞাপনে।
আরো পড়ুন: ক্লাসপার্টি: কোথাও ৩০০, কোথাও ৮০০, কোথাও জুজু
সরেজমিন দেখা যায়, রং-বেরঙের ভর্তির ব্যানার, বিলবোর্ড ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরের সব এলাকা। সব পোস্টারই ভর্তির তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। এসব পোস্টারে একেক একেক করে তাদের সুবিধার তথ্যগুলো তুলে ধরেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পোস্টারে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা, মেধাবীদের ফ্রি ও টিফিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
তবে এসব প্রতিশ্রুতির বেশিরভাগই বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই, অভিযোগ অনেক শিক্ষার্থী-অভিবাবকের। তারা বলছেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয় ইচ্ছেমতো মাসিক বেতন। তাছাড়া এসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো বিনোদনের জায়গা। ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চলে স্কুলগুলো। শিক্ষক নিয়োগেও তারা কোনো নীতিমালা মানেন না।
আরো পড়ুন: অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো কোচিং বাণিজ্যের রহস্য
এ ব্যপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক জয়নিউজকে বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বা ভর্তি বাণিজ্য করছে, যদি এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিব। এছাড়া ভর্তি বাণিজ্য ঠেকাতে বিভিন্ন টিম গঠন করা হয়েছে, তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের তথ্য জানাবে।
নতুন নতুন যেসব স্কুল হচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা তথ্য নিচ্ছি। যদি তথ্যের কোনো গড়মিল দেখা যায়, তবে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব- বলেন তিনি।