প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ১২ জন নেতাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) সহসভাপতি রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, জামায়াতের রুকন, সাময়িক বহিস্কৃত নেতা আফজাল হোসেন, জামায়াত নেতা আবদুল করিম, হাফেজ দিদারুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবু ও ফারুক আহমেদ।
এজাহার থেকে জানা যায়, ৬ ডিসেম্বর বাদী তার পত্রিকার অফিস থেকে মিরপুরের শাহ আলী মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। শাহ আলী মার্কেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল সোহেলের নির্দেশে চার হুজুর ও বিএনপির ৪-৫ জন কর্মী তাকে দাঁড়াতে বলেন। তারা বাদীকে বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। একটু আমাদের সঙ্গে চলেন।’
তারা বলেন, ‘বিএনপির নেতা সোহেল আপনাকে ধরে নিয়ে যেতে বলেছেন। আপনি যেতে যখন রাজি হচ্ছেন না তাহলে চুপচাপ থাকেন। আমরা আপনাকে শর্ত দিচ্ছি যে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সব নেতার মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে ২১ আগস্টের মতো শেখ হাসিনাসহ তাদের সবাইকে আইএস দিয়ে গ্রেনেড হামলা করে মেরে ফেলবো। কথাগুলো মনে রাখিস, এটা আমাদের নেতাদের নির্দেশ।’তারা এ কথাগুলো বলে চলে যান।