স্টাফ রিপোর্টার: খালেদা বেগম। থাকেন নগরের খুলশী থানার কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায়। সকালে নাস্তা তৈরী করার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে দেখলেন গ্যাস নেই। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলেন আগামী তিনদিন গ্যাস থাকবে না নগরে। এদিকে বিকল্প কোন ব্যবস্থাও নেই খালেদার। তাই শেষ ভরসা হোটেল রেস্তোঁরা।
সকাল থেকে গ্যাস না থাকায় খালেদা বেগমের মতো নগরের অনেকেই পড়েছেন দুর্ভোগে। চুলা জ¦লছে না, গ্যাস পাম্পেও নেই গ্যাস সরবরাহ। পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হঠাত করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নগরবাসী।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিশন কোম্পানির ব্যবস্থানা পরিচালক খায়েস আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত নগরে গ্যাস সরবরাহ থাকবে বন্ধ থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণকাজের অংশ হিসেবে পিগিং কার্যক্রম চলাকালে নগরে গ্যাস সরবারহ বন্ধ থাকবে। এ সময় বিদ্যুৎ ও সারকারখানাগুলোও বন্ধ থাকবে।
হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফ লিখেছেন, সকাল আটটা থেকে গ্যাস নাই। হোটেলে লম্বা ভিড়। দেখে মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধ লাগবে তাই সবাই খাবার মজুদ করছে। বুয়া এসে যথেষ্ট খুশি। বুয়ারাতো এদেশের সংখ্যাগুরু জনগণ। জনগণ খুশি হলে আমাদের আর কিছু বলার থাকে না। বললে আবার এটা উন্নয়নবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়ে যাবে।
শারমিন সুমি নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বাসায় রান্না করার চুলাতে গ্যাস নেই,দুই দিন যাবত খাওয়া দাওয়া (বন্ধ) এই দুর্ভোগের শেষ কখন হবে?
নকিব উদ্দিন ভূইয়া লিখেছেন, তীব্র বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। দেখার কেউ নেই ?????
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরের রেস্তোরাঁগুলোতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে কয়েকটা হটলাইন নম্বর দেয়া হয়েছে। হটলাইন নম্বরগুলো হলো ০৩১-৬৫৫৭৯৬, ০১৭৩০-৭২৮৪৪৪ (ষোলশহর অফিস) এবং ০৩১-২৫১৬৬২০, ০১৭৭৭৭১৭৬০৮(হালিশহর অফিস)।
বিপি