ঢাকা প্লাটুন বড় বড় ব্যাটসম্যান নিয়েও লড়াই করার মতো পুঁজি পায়নি। মিরপুরে লিটন-জাজাইয়ের ব্যাটে চড়ে ১০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল এক জয় পেয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দল।
জয়ের জন্য রাজশাহীর লক্ষ্য ছিল ১৩৫ রান। হজরতউল্লাহ জাজাইকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই ঝড়ো সূচনা এনে দেন লিটন দাস। ৫০ বলে তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি, যে জুটিতে লিটনের অবদানই ছিল বেশি। ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় লিটন ৩৯ রান করে মেহেদী হাসানের শিকার হন তিনি।
এরপর দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি জাজাই আর শোয়েব মালিক। দ্বিতীয় উইকেটে দেখেশুনে ৬০ বলে ৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন তারা। জাজাই ৪৭ বলে ৫৬ আর মালিক ৩৬ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানেই থেমে যায় ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস। এত বড় বড় তারকা থাকার পরও ঢাকার কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটির দেখা পাননি।
দলীয় ১৫ রানের মাথায় আউট হন তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪ বল খেলে একটি বাউন্ডারি মেরে মোট ৫ রান করেন তামিম। রাজশাহীর পেসার আবু জায়েদ রাহীর করা সে ওভারের পঞ্চম বলে আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি লরি ইভানস। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তিনি ফেরেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। তৃতীয় উইকেটে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টায় জুটি গড়েছিলেন জাকের আলি অনিক ও এনামুল হক বিজয়।
দুজন ভালোই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউটের শিকার হয়ে জাকের ফিরতে মোড়ক লাগে ঢাকা ইনিংসে। চোখের পলকে ২ উইকেটে ৭৮ থেকে ৬ উইকেটে ৮৩ রানের দলে পরিণত হয় তারা।
এসময়ের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন জাকের (১৯ বলে ২১), থিসারা পেরেরা (৩ বলে ১), এনামুল হক বিজয় (৩৩ বলে ৩৮) ও শহীদ আফ্রিদি (১ বলে ০)। খানিক পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিরে যান ১১ বলে ৫ রান করা আরিফুল হকও।
মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশ’র আগেই অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায় ঢাকা। সেখান থেকে দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দেন ওয়াহাব রিয়াজ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ দু’জন ২৩ রানের জুটি গড়ার আগে ১৪ বলে ৬ রান করে আউট হন মেহেদি হাসান।
ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ বলে ১৯ রান করেন ওয়াহাব। অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাট থকে আসে ২ ছক্কার মারে ১০ বলে ১৮ রান। দুটি ছক্কাই ইনিংসের শেষ ওভারে হাঁকান মাশরাফি।
রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে ৪৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া তাইজুল ইসলাম, অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা ও রবি বোপারার প্রত্যেকে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।