চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে পাহাড়তলী বধ্যভূমি পরিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগ নেতা ডা. হামীম মল্লিক ও শফিক আনানের নেতৃত্বে বধ্যভূমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করে তারা।
এবিষয়ে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা শফিক আনাম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মর্মন্তুদ স্মৃতি বহন করা পাহাড়তলী বধ্যভূমি দেশের আলোচিত এবং অন্যতম বৃহৎ একটি বধ্যভূমি।
পাঁচ হাজারের বেশি লোককে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয়। ওই সময় এই স্থানটির পরিচিতি ছিল জল্লাদখানা নামে। ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল ফাতেমীর নেতৃত্বে এবং আলী আকবর নামে এক রাজাকার ও তার সাঙ্গপাঙ্গ, পাকিস্তানি মিলিটারি ও বিহারিরা একত্র হয়ে পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে এই গণহত্যা চালায়।
স্বাধীনতার এতো বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের মর্মন্তুদ স্মৃতি বহন করা পাহাড়তলী বধ্যভূমি পড়ে থাকে অযত্ন ও অবহেলায়। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীক্ষিত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ বরাবরের মতোই জননেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন ভাইয়ের নির্দেশে এই বধ্যভূমিকে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্বটা পালন করেছে।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর এক কালো অধ্যায়।
এদিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোহিতায় বাঙালি জাগরণের সূর্য-সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
১৯৭১ ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তখন তারা বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিজ নিজ বাড়ি হতে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। প্রতি বছর বাঙালি জাতি ১৪ ডিসেম্বর পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মেধাবী ছাত্রনেতা ডা. তামিম মাহমুদ, তাপস দে, মাকসুদুর রহমান, ওবায়েদ উল্লাহ, মোহাম্মদ বিন শাহজাহান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জুবায়ের শাওন, মঞ্জুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ শামীম, ফারহান ফুয়াদ, অঙ্কন নাথ, শৈশব পাল ও হৃদয় ধর।