নগরের প্রায় শতভাগ পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। এছাড়া নগরের ৯৯ শতাংশ সরকারি অফিস, শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৯৯ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতভাগ গণপরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ভঙ্গ হচ্ছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশ্যাল এ্যাকশান (ইপসা)। ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবেকো ফ্রি কিডস্রের (সিটিএফকে) সহায়তায় ও ইপসা পরিচালিত জরিপে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধূমপান হচ্ছে ৫৪ শতাংশ সরকারি অফিসে ধূমপান, ৮১ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৩৪ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৫০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৮৫ শতাংশ গণপরিবহনে।
জরিপের তথ্যে মতে, ৯৮ শতাংশ সরকারি অফিস, শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৯৪ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, ৯৮ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শতভাগ গণপরিবহনে সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন করা হচ্ছে না। কিন্তু মানছে না অনেকেই।
ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরোর সঞ্চালনায় জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন উপ পরিচালক নাছিম বানু। এতে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান ও দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার।
এতে বক্তব্য দেন সিটিএফকের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, এন্টি ট্যোবেকো মিডিয়া এলায়েন্সের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ ও সদস্য লতিফা আনসারি রুনা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ইপসা ২০০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। চলতি বছর জুন মাসে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলার লক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পালনের অবস্থা জানতে ইপসা এই জরিপ পরিচালনা করে।