জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিজয়ের ৪৯ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ-সাহসী পরিচালনায় দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিটি মেয়র বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে জাতি সাড়া দিয়ে নয় মাস মরণপন যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে।
মেয়র আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রয়াস চলছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
মেয়র নাছির বলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। এই সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আমাদের লক্ষ্য।
পরে সকাল ৯টায় চসিকের উদ্যোগে নগরের বাকলিয়া স্টেডিয়ামে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মেয়র কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ ও ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, আবৃত্তি, রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত, দেশের গান, লোকসংগীতসহ ১০টি বিষয়ের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ দেওয়া হয়।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটি সভাপতি নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আকতার, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন।