বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অবৈধ লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন আমির খসরু।
রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমির খসরুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। নোটিশের পর আমির খসরু একমাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর তাকে সময় দিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিশ দেয় দুদক। তিনি নোটিশের বৈধতা নিয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ১১ সেপ্টেম্বর এ রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়।
গত ১৬ আগস্ট দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমির খসরুকে ২৮ আগস্ট সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
ওই চিঠিতে সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রাম চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আমির খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যের নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা বলা হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর অন্য বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হলে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সময় চান আমির খসরুর আইনজীবীরা। ওইদিন আদালত নট টু আদেশ দেন।
জয়নিউজ/কেকে/আরসি