স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সহস্র ঘটনার স্মৃতিবিজরিত স্থান চট্টগ্রাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে এই নগরে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও নির্মিত হয়নি কোনো স্মৃতিসৌধ। তাই প্রতিবছর বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয় নগরবাসীকে।
এসব বিষয় মাথায় রেখে চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগ তৈরি করেছে একটি প্রতীকী স্মৃতিসৌধ। ইস্পাত কাঠামোয় ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে ১০ ফুট উচ্চতা ও ৮ ফুট প্রস্থের এই প্রতীকী স্মৃতিসৌধ। নগরের টাইগারপাস এলাকায় বিন্নাঘাস প্রদর্শনীকেন্দ্রে স্থাপিত এর নকশা করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে।
১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এই স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একটি স্মৃতিসৌধ করতে না পারা লজ্জাজনক। তবে আমরা একটি স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। নগর
পরিকল্পনাবিদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতীকী স্মৃতিসৌধের উদ্যোক্তা মহানগর চট্টগ্রাম যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপিকা সায়রা বানু রৌশনী বলেন, শহীদ মিনার আর স্মৃতিসৌধ এক কথা নয়। কিন্তু নগরে স্মৃতিসৌধ না থাকার কারণে সবাই শহীদ মিনারেই যায়। এক্ষেত্রে আমার ভাবনায় এলো দুটো বিষয়। প্রথমত- একটা প্রতীকী স্মৃতিসৌধ তৈরি করে এতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা যায়, দ্বিতীয়ত- এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে একটা স্মৃতিসৌধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা যায়। মেয়র মহোদয় আমার এ ভাবনার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে প্রতীকী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম যুব মহিলা লীগের আহ্বায়িকা সায়রা বানু রৌশনী, সদস্য সচিব মমতাজ বেগম, যুগ্ম আহ্বায়িকা জাহানারা সাবের, সিনিয়র সদস্য ঝুমা আলমগীর, সাইকা দোস্ত, জিন্নাত খানম, রুবা আহসান, সোনিয়া আজাদ ও আসমানি ঝুমুর।