জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরকে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম পরস্পরভাবে জড়িত।
মঙ্গলবার ( ১৭ ডিসেম্বর ) দুপুরে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চসিকের নির্বাচিত ৫ম পরিষদের ৫৩তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র এই সব কথা বলেন।
মেয়র নাছির বলেন, সকল তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদান নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন নগরকে জিআইএস আওতায় ৪১ টি ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের উদ্যেগ নিয়েছে চসিক। ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শিগগির এই ব্যাপারে চসিক এবং আইডব্লিউএম এর মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে।
৪১ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডকে আলাদা আলাদা এবং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিকের ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা আড়াই বছর।
বিশেষ করে করপোরেশন আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতিকার্যকরি ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন নগরের কোনো জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ নেই।
নগরে কি-কি সম্পদ আছে তা জানা সকলের উচিত। এমনকি সিটি করপোরেশন স্বার্থ সংরক্ষণে এই ম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা এবং নগরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক ভারপ্রাপ্ত সচিব, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম।