অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনি এলাকায় যেতে পারেন না। সড়কের কারণে এলাকায় গিয়ে গাড়ির গ্লাস খুলে জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পারি না, লজ্জা লাগে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘মহাসড়কের লাইফ টাইম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে নিজের এলাকায় যেতে লজ্জা লাগে। শুধু নতুন রাস্তা তৈরির জন্য বহু প্রকল্প নেওয়া হয়। অথচ রক্ষণাবেক্ষণে নজর দেওয়া হয় না। অনেক ঠিকাদার এমনভাবে রাস্তা নির্মাণ করেন এটা ভাঙবেই।
তিনি বলেন, বলেন, ইংল্যান্ড-শ্রীলংকায় পাহাড়-পর্বত রয়েছে। আমরা তো মহাসাগরবিস্তৃত দেশও দেখি। তারাও তো রাস্তা করে। সেখানে রাস্তার লাইফটাইম ৫০ বছর। তাহলে আমরা কেন পারবো না।
তিনি আরো বলেন, ইংল্যান্ডের একটি এক নম্বর কোম্পানি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হয়নি তা আমরা জানি। ওই কোম্পানি রাস্তাঘাট তৈরি করতে তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে। তিনটি গাড়ি মিলে চোখের নিমিষেই এক কিলোমিটার রাস্তা করে ফেলে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, লেখক ও-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী একে মো. ফজলুল করিম।
জয়নিউজ