‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা ঝুপড়িপার্টি ছিলাম। ঝুপড়িতে বসে আড্ডা দিতাম। শিক্ষকরা সেখান থেকে আমাদের ধরে এনে ক্লাস করাতেন। অনেক সময় শিক্ষকরাও আমাদের সঙ্গে ঝুপড়িতে বসে ক্লাস করাতেন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আমেরিকা প্রবাসী মাহাবুব ফারহানাজ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নগরের হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে রজত জয়ন্তী ও পুনর্মিলনীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় রজত জয়ন্তী উৎসবের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মাহাবুব ফারহানাজ বলেন, ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়েছি। এর মধ্যে অনেক সময় চলে গেছে। চাইলেও আসা সম্ভব হয়নি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভাগে। তবে নিজ বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগছে।
জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তন্ময় মজুমদার বলেন, আমরা যখন পড়াশোনা করেছি তখন কলা অনুষদের ভেজা স্যাঁতস্যাঁত ভবনে অনেক কষ্ট করে পড়েছি। আমরা সুন্দরবনে একটি সুন্দর শিক্ষা সফর কাটিয়েছি। এরপর ঢাকায় গিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করি। আমাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন হওয়ায় আমরা বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। তাই যেকোনো প্রোগ্রাম সহজে করতে পারছি।
২৩তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী জাওয়াদ হোসেন বলেন, ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে এই বিভাগে ভর্তি হই। শুরু থেকে ইচ্ছে ছিল এই বিভাগে ভর্তি হব। সেই আশা পূর্ণ হয়েছিল।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল, সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ, সমকালের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান সারোয়ার সুমন, মাছরাঙা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান তাজুল ইসলাম, তারেক মাহমুদ, ডেইলি সানের ব্যুরোপ্রধান নুর উদ্দিন আলমগীর মিলন, ডা. আতিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
এদিকে স্মৃতিচারণের পর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে অংশগ্রহণ করেন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জনপ্রিয় ব্যান্ড দল আভাস।