খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়োদিন (ক্রিস্টমাস) আজ।
দুই হাজারেরও বেশি বছর আগে এই শুভদিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রিস্ট। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যীশুর।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব বড়োদিনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি।
জানা যায়, যীশু খ্রিস্টের জন্মতিথির ৯ দিন আগে থেকে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়। যা ‘নগেনা’ নামে পরিচিত। এর চার সপ্তাহ আগে থেকে প্রতি রোববার গির্জায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এ জন্মতিথির অপেক্ষা করা হয়।
নগরের বিভিন্ন স্থানে ১৪টি গির্জায় পালিত হচ্ছে বড়োদিন। পাথরঘাটার জপমালা রাণী গির্জা, জামালখানের বেথলহেম এজি চার্চ, ক্যাথলিক চার্চসহ বিভিন্ন গির্জাগুলোতে বানানো হয়েছে খ্রিষ্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গো-শালা।
বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে যীশুর জন্মের সুদীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরা হয়। এসব চিত্রে মেরি, যোসেফ, শিশু যীশু, স্বর্গদূত, মেষপালক এবং বেথেলহেমের সেই সময়কার দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়।
পাথরঘাটা ও জামালখান এলাকায় দেখা যায়, গির্জাগুলো বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। গির্জার পাশাপাশি সাজানো হয়েছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘর। বাহারি আলোতে বড় বড় হোটেল সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়ো দিন উপলক্ষে সবচেয়ে বড়ো প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় পাথরঘাটা জপমালা রাণী গির্জায়। সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে সম্মিলিত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বয়সের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন। প্রার্থনায় বিশ্বের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়।