পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা শহরসহ এর আশপাশ এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল। কিন্তু ৯টার পর সূর্যের দেখা মেলে। কেটে যায় ঘন কুয়াশা। চারপাশে ঝলমলে রোদের কারণে শীতের তীব্রতা কমতে শুরু করে। গতবছর আজকের দিনে পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই অবস্থাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সকাল ৬টায় প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকলেও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণেই মূলত তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা কমছে।
পঞ্চগড় ছাড়াও দেশের অন্যান্য সব জেলায়ও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সব। দিন দিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে বেশি। এতে দুর্ভোগ-দুর্দশা বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের। আর শীতে বেশি কষ্টে আছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এছাড়া শ্রমজীবী মানুষদের দুর্ভোগেরও শেষ নেই।
এদিকে উত্তরবঙ্গের মতো তাপমাত্রা এত কম না থাকলেও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধের মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ, সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি