নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে ফেলেছে। ৩০ ডিসেম্বর ইতিহাসের জঘন্যতম একটি দিন।
গণতন্ত্র হত্যাদিবস উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে নগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রি দেখে নাই কিন্তু ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কালো রাত দেখেছে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের দিন রাত্রে কি ঘটেছিল জাতি দেখেছে। ২৯ ডিসেম্বর কালো রাত্রে এদেশের সাধারণ জনগণকে গণগ্রেপ্তার করেছে। কারণ তারা যেন ৩০ ডিসেম্বর ভোট সেন্টারে ভোট দিতে যেতে না পারে। কেউ রাত্রে বাসা বাড়িতে থাকতে পারে নাই, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ছিল পুলিশ, বিজিবি ও আওয়ামীসহ সরকারি দলের ক্যাডাররা।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলংকিত ভোটাধিকার হরণের দিন। এই দিনে অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচন ছিল অনিয়মের খনি। দেশবাসীর কাছে এ দিনটি তাদের ভোটাধিকার হরণের কালোরাত হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসভাপতি এমএ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, আরইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), মো. সালাহ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, দিপ্তীফাতেমা বাদশা, হামিদ হোসেন, নুরুল আকবর কাজল, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, আবদুস সাত্তার সেলিম, আবদুল্লাহ আল হারুন, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী ও আরিফ মেহেদী।