বছরের শেষদিনে নগরের বায়েজিদের শেরশাহ এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রিপন নামে একজন খুন হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করলেও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু বলছেন ভিন্ন কথা। উল্টো ঘটনার জন্য তিনি দুষলেন পুলিশকে।
কমিশনার ইকবাল বাবু অভিযোগ করে জয়নিউজকে বলেন, রিপন এলাকায় একটি চটপটির দোকান চালাতো। প্রায় সময় দিদার-জসিম গ্রুপ রিপনের কাছে চাঁদা চাইতো। চাঁদা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিতো। গত ৫ ডিসেম্বর পুনরায় চাঁদা দাবি করলে রিপন দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রিপনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে রিপন বায়েজিদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতে করে মহিউদ্দিন-দিদার গ্রুপ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু বায়েজিদ থানা পুলিশ তখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জয়নিউজকে জানান, যে নিহত হয়েছে খুব সাধারণ পরিবারের ছেলে। শেরশাহ এলাকায় অধিপত্য বিস্তারের ঘটনা দীর্ঘদিনের। মূলত ওই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আনোয়ার নামে একজনের সঙ্গে রিপনসহ কয়েকজন মেজবানি খেয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হন। নিহত রিপন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর অনুসারী। হামলার নেতৃত্বে ছিলো শেরশাহ এলাকার এমদাদুল হক। এই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
তবে স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু জানান, রিপন আমার বাসা থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ৯টার দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথে শেরশাহ এলাকার তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ওসিকে ফোন করলে ওসি তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠাতে তালবাহানা করে। ঘটনার প্রায় ১ ঘন্টার পর এস আই সাইফুলের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ পাঠায়। ততক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে ঘটনাস্থলেই রিপন মারা যায়। পুলিশ যদি তখনই যেত হয়তো রিপনকে মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা করা যেতো। কিন্তু পুলিশ সে সহযোগিতা আমাকে করেনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হামলায় নিহত হন মো. রিপন। তিনি শেরশাহ এলাকার মৃত আমিনের ছেলে।
জয়নিউজ/কামরুল/পিডি