শীতের তীব্রতা যতই বাড়ছে অতিথি পাখির আগমনও বাড়ছে। অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত মোগল আমলে নির্মিত এক দিঘি।
বলছিলাম রাউজানের সুলতান নশরত বাদশার দিঘির কথা। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দিঘিটি এখন অতিথি পাখিতে ভরপুর।
মো. নুর খান নামে দিঘির এক মালিক জয়নিউজকে বলেন, অনেক দর্শনার্থী আসেন অপরূপ এ দিঘিটি দেখতে। দিঘিটি দর্শনার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেয় মোগল আমলের কথা।
গহিরার কোতোয়ালিঘোনা এলাকায় সুলতান নশরত বাদশার দিঘি। দিঘির পাশ দিয়ে ইছাপুর সড়ক। পশ্চিমে হজরত মুফতি ছমিউদ্দিন শাহ ও হজরত আদল শাহার মাজার এবং পূর্বে হজরত কানু মিয়াজির মাজার। আর দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে জামাল গোলতাজ আশরফ সুন্নিয়া ফোরকানীয়া নূরানী মাদ্রাসা।
২৫ একর ২০ শতক আয়তনের দিঘির চার পাড়ে রয়েছে স্থানীয়দের কবরস্থান। পূর্বপাড়ে রয়েছে দুটি পাকা ঘাট। বিশাল একটি পাকা ঘাট রয়েছে দক্ষিণ পাড়ে। আর পুরো দিঘির পাড়জুড়ে রয়েছে নানা প্রজাতির সারি সারি গাছ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশাল এ দিঘির মালিকানায় রয়েছেন ২৭ জন ব্যক্তি। প্রতিবছর মাছ চাষ করে তারা আয় করেন বিপুল পরিমাণ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর শীতে রাউজানজুড়ে থাকে অতিথি পাখি। নশরত বাদশার দিঘির পাশাপাশি কদলপুর লস্কর উজির দিঘি, পশ্চিম গুজরার, চিকদাইর এবং বিনাজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অতিথি পাখি। দিঘির পাশাপাশি এসব এলাকার ফসলি জমিও অতিথি পাখিতে ভরপুর।
তারা আরও জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি অতিথি পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ করেছেন। তাই রাউজান অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে অনন্য রূপ পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগেরও কণ্ঠেও পাওয়া গেল অভিন্ন কথা। তিনি জয়নিউজকে বলেন, রাউজান অতিথি পাখির অভয়ারণ্য। অতিথি পাখির সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবসময় তৎপর। অতিথি পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের।
জয়নিউজ/বিআর