ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে বিএনপি তাকে চাকুরিচ্যুত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে আয়োজিত এক গণসংর্বধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কর্মজীবনে আমি সাংবাদিকতা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলাম। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র ছাত্রলীগের রাজনীতি করার কারণে বিএনপি আমাকে চাকুরিচ্যুত করে।
দেশে এসে ভুল করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাকুরি থেকে বের করে দেওয়ার পর আমি লন্ডনে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করি। পড়াশেষে সবুজ পাসর্পোট হাতে নিয়ে দেশে এসেছি। যখন দেশে ফিরে আসি তখন বন্ধুরা বলেছে আমি ভুল করেছি। কিন্তু আমি এখন বলছি আমি কোনো ভুল করিনি। নেত্রী আমাকে সম্মানিত করেছেন। চট্টগ্রামবাসীর ভালোবাসা ও দোয়ায় আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের পদ পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বলেন, ২১তম কাউন্সিলে নেত্রী চট্টগ্রামের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন। বীর চট্টলার ৮ জনকে সম্মানিত করেছেন, এ অর্জন চট্টগ্রামবাসীর। আমি চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। বিশ্বের কোনো দেশে এমন নেত্রী নেই, যিনি পুরো পরিবার হারিয়ে নিজেকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা তা প্রমাণে করেছে। জাতির দুঃসময়ে দেশের হাল ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়। দেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে। তার এই অগ্রযাত্রায় অন্যতম সহায়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন আগামী ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচন। নেত্রী সেখানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদকে মনোয়ন দিয়েছেন। মোছলেম উদ্দিন আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরিক্ষীত কর্মী। ভোটের মাঠে আপনারা মূল্যবান রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারো জয়যুক্ত করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনিসহ অন্যান্যরা।