গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ১১৪তম উরস উপলক্ষে শিশু-কিশোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক:) ট্রাস্টের ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উদ্যোগে ১৭ জানুয়ারি এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কিরাত্ব, হামদ, না’তে রাসূল (দ), মাইজভাণ্ডারী সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও কুইজে বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়।
ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সচিব অধ্যাপক এওয়াইএম জাফরের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, শিশুরা যাই দেখে তাই শিখে। তাই শিশুদের সামনে ভালো কিছুর দৃষ্টান্ত রাখতে হবে বড়দেরকে। মহৎ জ্ঞানী গুণী ওলী মনীষীদের জীবনাদর্শ শিশু-কিশোরদের মাঝে তুলে ধরলে তারা আলোকিত ও সমৃদ্ধ হবে। কিন্তু দুঃখজনক যে, সন্তানদের সৎ বিবেকবান আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার পেছনে সময় না দিয়ে কীভাবে তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করা যায় সেদিকে যেন ব্যস্ত থাকেন অনেক অভিভাবক। যা মোটেই কাম্য নয়। শুধু পড়াশোনায় কৃতিত্ব অর্জন নয়, শিক্ষার্থীদের সৎ ও আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাইজভাণ্ডারী মহাত্মারা আমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এওয়াইএম জাফর বলেন, শিশু-কিশোরদের মাঝে রয়েছে অফুরন্ত শক্তি ও সম্ভাবনা। ছোটকাল থেকেই তাদের মেধা ও প্রতিভাকে জাগ্রত করতে হবে। ওলী-মনীষীদের মহৎ জীবনাদর্শের আলোকে তাদের গড়তে পারলে তারাই একদিন আলো ও দ্যুতি ছড়াবে। মাইজভাণ্ডারী একাডেমির বুদ্ধিবৃত্তিক, শিক্ষাবান্ধব ও আদর্শিক নানা পদক্ষেপের সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত হবার তাগিদ দেন তিনি।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে ছিলেন, মাইজভাণ্ডারী সঙ্গীত নিকেতনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ মিহির লালা, সঙ্গীতজ্ঞ আবদুর রহিম, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্তী লালা, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী শাশ্বতী তালুকদার, আবৃত্তিকার আয়েশা হক শিমু, নাজমুল হাসান জুন্নুন, অনিন্দিতা দেবনাথ, শাহজাহান খান, আবৃত্তি শিল্পী হাসান জাহাঙ্গীর, এসএম মুরশিদ উল আলম, আবদুল্লাহ আল হান্নান, মাওলানা সোহরাব হোসেন চৌধুরী, মাওলানা মোস্তাক আহমদ।
অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচক ছিলেন আলোকধারা সম্পাদক ড. সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ, ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন, উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এইচএম রাশেদ খান, মুহাম্মদ মঈনউদ্দিন ইমন, অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, এম মাকসুদুর রহমান হাসনু, মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আশরাফ, এইচআর মেহবুব জিকু, নুরুল করিম নুরু, আবুল মনসুর, মেজবাহ উদ্দিন, আ ব ম খোরশিদ আলম খান, আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিকী, ওমর ফারুক, খোরশেদ আলম, শামসুল ইসলাম, ফজলুল হক ফজু, মুহাম্মদ নাসির, মুহাম্মদ ফারুক, শওকত হোসেন, আহসান উল্লাহ চৌধুরী বিভন, ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই, মোরশেদুল করিম চৌধুরী ও আরেফিন রিয়াদ।