বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের তিনটি রাবার বাগান আছে রাউজানে। হলদিয়া, ডাবুয়া ও রাউজান- এ তিনটি রাবার বাগানে এখন চলছে ভর মৌসুম।
মৌসুমে এসব বাগানে উৎপাদিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাবার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখানকার রাবার রপ্তানি হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও!
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ তিন রাবার বাগানেই গত বছরের চেয়ে আনুপাতিক হারে উৎপাদন বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও এ উৎপাদন আরো বাড়ানো যেত।
এদিকে উৎপাদনে উৎসাহ বাড়লেও দাম নিয়ে রয়েছে হতাশা। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারেও যে এখন রাবারের দাম কম।
আবার বাগানগুলোর বিপুল পরিমাণ জমিও বেদখলে রয়েছে। সরকারি এই জমি দখল নিয়ে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে নিজেদের সাম্রাজ্য।
হলদিয়া রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক তীর্থ জিৎ রায় জয়নিউজকে বলেন, হলদিয়া রাবার বাগানের আয়তন ২ হাজার ৮৫৭ একর। এর মধ্যে ৫৭৫ একর পাহাড় ও টিলা জমি প্রভাবশালী মহলের অবৈধ দখলে রয়েছে।
বর্তমানে ২ হাজার ২৮২ একর জমিতে রাবারগাছ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার ১ লাখ ৩২ হাজার ১১টি গাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার কেজি রাবারের কস আহরণ করা হয় । প্রক্রিয়াজাত করে প্রতিদিন পাওয়া যায় দুই হাজার কেজি রাবার। কস আহরণের জন্য ঠিকাদার রয়েছে। তারাই এ কস সংগ্রহ করে দেন।
তিনি আরো বলেন, গতবছরের চেয়ে এ বছর রাবার উৎপাদন বেশি হয়েছে । কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কম হওয়ায় বিপুল উৎপাদন করেও বাগানগুলো লাভের মুখ দেখছে না।
রাউজানের ডাবুয়া রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক শোভন কান্তি সাহা বলেন, ডাবুয়া রাবার বাগানের আয়তন ২ হাজার ৪৬০ একর। ২ হাজার ৩০০ একর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এ বাগানে ৮৩ হাজার ৯৫৮টি রাবার গাছ থেকে রাবার উৎপাদন হচ্ছে। জনবল সংকট না থাকলে উৎপাদন আরো বাড়ানো যেত।
অভিন্ন কথা জানান রাউজান রাবার বাগানের উৎপাদন কর্মকর্তা মো. হানিফ। তিনি জয়নিউজকে বলেন, ১ হাজার ৮৬৭ একর ৭৫ শতক জমি থাকলেও বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে অবৈধ দখলে। এ বাগানে ৪৬ হাজার ৮০০ রাবার গাছ থেকে গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার কেজি রাবারের কস আহরণ করা হচ্ছে । যা গতবারের তুলনায় বেশি।
জয়নিউজ/পিডি