ঢাকা ও কক্সবাজারে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় নিহত দুজনকে ‘ডাকাত’ বলছে র্যাব। আর কক্সবাজারের উখিয়ায় নিহত দু’জন মাদক চোরাকারবারি বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে র্যাব-২ এর টহলদলের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলিতে অজ্ঞাত পরিচয় দু’জন নিহত হয়।
র্যাব জানায়, ডাকাতদলের সদস্যরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে অবস্থান করছিল। র্যাবের টহলদল সেখানে গেলে তারা গুলি ছোঁড়ে। র্যাব পাল্টা গুলি চালালে দু’জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, গুলি, ছুরি, চাপাতি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছে।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান জানান, ভোর রাতে আরাকান সড়কের মরিচ্যা বাজার এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় আব্দুস সামাদ (২৭) এবং যশোরের অভয়নগর এলাকার মো. আবু হানিফ (৩০)।
তিনি বলেন, মরিচ্যা বাজার এলাকায় র্যাবের অস্থায়ী চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশির সময় টেকনাফের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক না থেমে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়। তাতে ট্রাকে থাকা দুই ব্যক্তি নিহত হয়।
পরে ওই ট্রাকে তল্লাশি করে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশে তৈরি বন্দুক, আট রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। নিহতরা ‘চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী’ এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে বলে র্যাবের ভাষ্য।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি