কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক শেখ শহীদুল ইসলাম লালা (৪৮) কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী সিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে। অপর আটক নওশাদ (২২) একই উপজেলার কৈয়ারবিল গ্রামের আবদুল মাবুদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে এ দুইজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে ২৪ জানুয়ারি সকালে কুতুবদিয়ায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলার পর শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম লালা ও তার সহযোগী নওশাদ বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রকে নানান প্রলোভনে ফেলে উপজেলা গেটে তার দোকানের পিছনের কক্ষে নিয়ে মুখ বেঁধে দফায় দফায় বলাৎকার করে। তারা ওই ছাত্রকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্র ব্যথার যন্ত্রনায় কান্নাকাটি শুরু করলে সন্ধ্যার দিকে ওই ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতা।
এদিন সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় বাসায় গিয়ে ওই ছাত্র তার পরিবারের কাছে আওয়ামী লীগ নেতার ‘নোংরা কর্মকাণ্ড’ খুলে বলার পর তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা একজোট হয়ে উপজেলা গেটে এসে ওই নেতাকে দোকানে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে রাতেই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শহীদুল লালা ও তার সহযোগী নওশাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে ভিটটিম ছাত্রের মা বাদী হয়ে আটক দুই জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি এজাহার দিলে পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। আর ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে পাঠিয়ে দেন।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস জয়নিউজকে জানান, বলাৎকারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অপর একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভিকটিম ছাত্রের মা। ভিকটিম ছাত্রকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে ওসি জানান।