চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির বহিস্কারের দাবিতে চলমান বিজয় গ্রুপের শিথিল অবরোধের মধ্যেই আবারো অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর পদত্যাগসহ দুই দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছে বগিভিত্তিক গ্রুপ রেড সিগনাল (আরএস)। একইসঙ্গে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আরএস গ্রুপের কর্মীকে মারধর ও এলাকাবাসীর উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়েছে তারা।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ক্যাফেটেরিয়ায় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এমরান আশিক৷ তিনি রেড সিগনাল গ্রুপের কর্মী। তাকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সে নেওয়া হয়েছে।
পরে সাড়ে চারটার দিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা ১নং রেলক্রসিংয়ে এলাকাবাসীর উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ রেড সিগনাল গ্রুপের।
এদিকে এমরানকে মারধরের পর পৌনে ৩টার দিকে ফতেয়াবাদ স্টেশনে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটলের হোসপাইপ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। তখন থেকে ক্যাম্পাসগামী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার জয়নিউজকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলেদের উপর হামলা করেছে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। আবার এলাকাবাসীর ওপরও হামলা করেছে তারা। তাদের শাস্তি এবং এসব ঘটনায় ইকবাল টিপুর পদত্যাগের দাবিতে আমাদের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে।
তবে এলাকাবাসীর উপর হামলার ঘটনা জানেন না বলে জয়নিউজকে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। তিনি বলেন, এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে কিছু হলেই অবরোধ। অবরোধ তো মামার বাড়ির মুয়া না। কেউই ঝামেলা করার সময় আমার অনুমতি নেয় না। নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করে। এখন দোষ কার? সেক্রেটারির, এরকম? প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যারা গণ্ডগোল করছে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, অবরোধের বিষয়টা আমরা জেনেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
প্রক্টর বলেন, ছাত্ররা বারবার নিজের মধ্যে মারামারি করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তবে আমরা কাউকে ছাড় দিব না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০ জানুয়ারি প্রক্টর কার্যালয়ে আরএস গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ইফরাতুল আলম পিটু। এ ঘটনায় পিটুকে বহিস্কার করে ছাত্রলীগ। পরে ২২ জানুয়ারি সিক্সটি নাইন গ্রুপের দুই কর্মীকে মারধর করে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
সেদিন সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বহিস্কারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকে বিজয় গ্রুপ। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অবরোধ শিথিল করা হয়েছিল।