আগামী পাঁচ বছর সময়কালে ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন অর্থাৎ এক কোটি পাঁচ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিডিএফের সমাপনী ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
অর্থমন্ত্রী দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে বলেন, আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে অর্থায়ন করতে হবে এবং এ লক্ষে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী, দারিদ্র্যের হার ২০২১ সালে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালে ১২ দসমিক ১ শতাংশ হবে। অতি দারিদ্র্যের হার ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ হতে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমে আসবে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপি’র তুলনায় ২০২০ সালে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে বেড়ে ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে। এর মধ্যে সরকারি খাতের বিনিয়োগ ৮.২ থেকে ৯.০ শতাংশ এবং ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ ২৪.৫ থেকে ২৮.২ শতাংশ হবে। পাঁচ বছর সময়কালে দেশের ভিতরে এবং বাহিরে মোট ১০.৫ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পরিকল্পনার প্রাক্কলন অনুযায়ী জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালের ৮.২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৮.৫১ শতাংশ হবে। আগামী পাঁচ বছরে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। ব্যবসাবান্ধব, পণ্য উৎপাদনবান্ধব ও রপ্তানি-বান্ধব ট্যাক্স-রেজিম সৃষ্টি করা হবে। সরকারি বিনিয়োগে দেশীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্যমোট রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
বিডিএফ সম্মেলন-২০২০ উপলক্ষে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট শিজিন সেন অর্থমন্ত্রীর শেরে বাংলানগর কার্যলয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।